গুপ্তচরবৃত্তির প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ
প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোনে আড়ি পাতার খবরে অস্ট্রেলিয়ার পতাকা পুড়িয়েছে ক্ষুব্ধ ইন্দোনেশীয়রা। অস্ট্রেলিয়ার এ আড়ি পাতার জেরে ১৯৯০ এর দশকের পর দু’দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ২শ’ মানুষ জাকার্তায় কড়া নিরাপত্তাধীন অস্ট্রেলীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করে গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনায় ক্ষমা দাবি করেছে। বুধবার ক্যানবেরার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়োনো।
বিক্ষোভকারীরা অনেকেই ইন্দোনেশিয়াকে আক্রমণ করে লেখা ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করে। এর একটিতে লেখা ছিল, “আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য তৈরি”।
অন্যদিকে, জাভার কেন্দ্রীয় শহর ইয়োগাকার্তায় বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটাতে অস্ট্রেলিয়ার পতাকা পোড়ায়।
প্রেসিডেন্ট ইয়োধোইয়োনো বুধবার জাতীয় টিভিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথির ভিত্তিতে ইন্দোনেশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার আড়িপাতার খবর প্রকাশ পায়। এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের ফোনে নজরদারি করার চেষ্টা চালায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট ইতিমধ্যে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষমা চাননি।