ব্রিটেনে ৩০ বছর আটকে থাকা তিন নারী উদ্ধার
ব্রিটেনে একটি বাড়ি থেকে ৩০ বছর আটকে থাকা তিন নারী উদ্ধার করেছে পুলিশ। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা কেভিন হাইল্যান্ড এ ঘটনাকে বিরল ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। ব্রিটেনের পুলিশ বলেছে তারা লন্ডনের এক বাড়ি থেকে তিনজন নারীকে উদ্ধার করেছে যাদেরকে ৩০ বছর ধরে ওই বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার নাগরিক ওই নারীদের বয়স ৩০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে এবং তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের তিনজনই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে বলে পুলিশ বলছে। এ ঘটনায় ষাটোর্ধ্ব একজন ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গত মাসে ফ্রিডম চ্যারিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে একজন নারীর টেলিফোন আসে এবং তিনি জানান যে, কয়েক দশক ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একটি বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে। এরপর ফ্রিডম চ্যারিটি থেকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ তাদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
পুলিশ বলেছে তারা ৩০ বছর ধরে একপ্রকার দাসত্বের জীবযাপন করেছে এবং এখন তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে কর্মকর্তারা। পুলিশ আরো জানিয়েছে যে, তারা উদ্ধারকৃত এই তিনজন নারীর মধ্যে সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের মানব পাচার বিভাগের গোয়েন্দা কর্মকর্তা কেভিন হাইল্যান্ড এই ঘটনাকে বিরল একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেছেন, এই তিনজন নারীকে খুব তাড়াতাড়িই ছেড়ে দেয়া হবে। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের খুব সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়েছে। এরা তীব্র মানসিক রোগে ভুগছে এবং প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরাটা খুবই কষ্টকর ছিল। তবে আমরা তা করতে পেরেছি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যৌন নির্যাতনের কোনো প্রমাণ তারা পাননি। ফ্রিডম চ্যারিটির করা ‘জোরপূর্বক বিয়ে’ নিয়ে একটি টেলিভিশন ডকুমেন্টারি দেখার পরই ঘটনার শিকার আইরিশ নারীটি সংস্থায় ফোন দিয়ে সাহায্য চায় ও তাদের উদ্ধার করতে বলে। সূত্র : বিবিসি