ইইউর সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ইউক্রেন

EU Ukrainবাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সুসংহত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা গত বৃহস্পতিবার বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। এর সমালোচনা করে পশ্চিমারা বলেছে, রাশিয়ার চাপে মাথানত করে ইউক্রেন ঐতিহাসিক এক সুযোগ হারাল। তবে ইউক্রেন বলছে, একান্তই ‘অর্থনৈতিক’ ও ‘কৌশলগত’ কারণেই এ সিদ্ধান্ত।
ইউক্রেনের কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া তিমাশেঙ্কোকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্যে উত্থাপিত একটি বিল পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে যাওয়ার পরপরই ইইউয়ের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্ভাব্য ওই চুক্তির জন্য ইইউর অন্যতম শর্ত ছিল, অসুস্থ তিমাশেঙ্কোকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়া।
লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এক সম্মেলনে ইইউর সঙ্গে ইউক্রেনের ওই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। এটাকে দেখা হচ্ছিল, ইইউতে দেশটির অন্তর্ভুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে। তবে ইউক্রেন ইইউর সঙ্গে চুক্তি করলে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক লেনদেনে প্রভাব পড়বে বলে বরাবরই সতর্ক করে দিয়ে আসছে মস্কো।
এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘এটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়া একটি সুযোগ।’ ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন বলেছেন, ইইউ ও ইউক্রেনের জনগণ উভয়ের জন্যই এটা ‘হতাশাজনক’। আর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, সব ধরনের বাধা দূর করে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পর্যাপ্ত সময় এখনো আছে।
চুক্তি স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্তের কারণ গতকাল ব্যাখ্যা করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজরভ। তিনি পার্লামেন্টে বলেন, কেবল অর্থনৈতিক ও কৌশলগত কারণেই তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা ইউক্রেনের সার্বিক উন্নয়ন কৌশলে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তবে এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে দেশটির ইইউপন্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতেই শত শত মানুষ রাজধানী কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ ছাড়া কাল রোববার গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button