বাংলাদেশ সরকারের একটি ভোট খুলতে পারে আরব আমীরাতে শ্রম বাজার
পারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রম বাজার খুলে দিতে।একদিকে একটি মাত্র ভোট। অন্যদিকে লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান। বৈশ্বিক বাণিজ্যিক প্রদর্শনী ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২০’র ভেন্যু নির্বাচনে দুবাইকে ভোট দিলেই বাংলাদেশের জন্য আসতে পারে এমন সুখবর।
আগাম এমন আভাসে বেশ সম্ভাবনা দেখেছিল বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র দপ্তর এবং আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসের নিযুক্ত কূটনীতিকরাও সে পথেই হাঁটছিলেন। কিন্তু কাঙ্খিত সে ভোটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে সে সম্ভাবনা নষ্ট হতে চলেছে। হাতছাড়া হতে চলেছে বিরাট এই শ্রম বাজার আবার উন্মুক্ত হওয়ার।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে চলা ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২০’র ভেন্যু নির্বাচনে দেনদরবার চলছে। দুবাইয়ের পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে আরব আমিরাত। একই যুদ্ধে লড়ছে রাশিয়াসহ আরও দু’টি দেশ। আগামী ২৭ নভেম্বর প্যারিসে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর আয়োজক রাষ্ট্র চূড়ান্ত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের জন্য বন্ধ থাকা আরব আমিরাতের শ্রম বাজার পুনরায় খোলাসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে আরব আমিরাতের পক্ষে ভোট দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে টেলিফোন করে আনুষ্ঠানিক সমর্থনও চেয়েছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই সে সিদ্ধান্ত বদলে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূলত এ সিদ্ধান্ত উচ্চ পর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
ইতোমধ্যে নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি সমর্থন দিয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের এক কর্মকর্তা। এর ফলে আগামী তিন বছরে নেপাল থেকে তিন লাখ শ্রমিক রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমিরাত সরকার।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এখনও সময় আছে রাশিয়াকে ভোট না দিয়ে আমিরাতের প্রতি সমর্থন আনলে শ্রম বাজারে ইতিবাচক ফল আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে হঠাৎ করেই বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হওয়া অন্যতম প্রধান এ শ্রম বাজারটি বছর পেরোলেও শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়নি। কূটনৈতিক যোগাযোগও পারেনি দু’দেশের দূরত্ব ঘোচাতে।