মক্কায় হোটেল ভাড়া শতকরা দেড়শ’ ভাগ কমে গেছে

Madinah Hotelসৌদি আরবের পর্যটন বিষয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মক্কার পবিত্র কাবা ঘরের আশপাশে অবস্থিত হোটেলগুলোর ভাড়ার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটে একেবারে স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে। ভাড়া ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। মক্কা শিল্প ও বণিক সমিতির হোটেল ও পর্যটন বিষয়ক কমিটির প্রধান ফাহদ আল ওয়েদিয়ানি বলেন, আমরা পবিত্র কাবাঘরের আশপাশে অবস্থিত হোটেলগুলোর ভাড়া ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে দেখছি। হারাম শরীফের ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে অনেক হোটেল গড়ে উঠছে। এতে হাজার হাজার নতুন রুম সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বছর হোটেলে ভাড়ার হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের হোটেলে বেশি হারে অভ্যাগত টানার লক্ষ্যে স্থানীয় বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়ার হার অনেক হ্রাস করার প্রস্তাব দিচ্ছে। আল ওয়েদিয়ানি বলেন, অনেক বছর পর এবার হোটেল ভাড়া এত বেশি হ্রাস পেয়েছে। বিদেশী পর্যটন কোম্পানি ও হজ্জ এজেন্সিগুলো হোটেল ভাড়া ব্যাপক হারে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, যেসব হোটেল থেকে পবিত্র কাবাঘর দেখা যায় এমন হোটেলের স্যুটের ভাড়া এখন এক মাসের জন্য কমে ৭০ হাজার রিয়াল হয়েছে। এর আগে এগুলোর ভাড়া ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার বিয়াল এই কমার হার ১৫০ শতাংশ। রমযানের শেষ ১০ দিন পবিত্র মসজিদের কাছে অবস্থানের জন্য এসব স্যুট ভাড়া করা হয়।
তিনি বলেন, এ বছর যদিও ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় কম। ফলে মুনাফার পরিমাণও কমে যাওয়ার কথা হোটেলগুলোর। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যদিও এটি কোন ব্যক্তিগত বিষয় নয়। সৌদি সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সারা বিশ্বের মুসলমানরা উপকৃত হবে। সৌদি সরকার মক্কাকে একটি আধুনিক শহরে পরিণত করা এবং লাখ লাখ হজ্জযাত্রীর সেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি রিয়াল খরচ করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button