রুপার্ট মারডকের বউ ভাগালো টনি ব্লেয়ার !
মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক এবং সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সম্পর্ক এখন চরম তিক্ততায় পৌঁছেছে। কথা বলা দূরে থাক কেউ কারো মুখ পর্যন্ত দেখছেন না। তাদের এই তিক্ত সম্পর্কের নেপথ্যে রয়েছেন মারডকের তৃতীয় স্ত্রী মেস ডেং। খবর: ডেইলি মেইল’র।
রুপার্ট মারডকের সাবেক এই স্ত্রীর সঙ্গে টনির গোপন অভিসারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই মূলত তাদের মধ্যকার মধুর সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। যদিও ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাদের মধ্যকার এই সম্পর্ককে ‘প্লেটোনিক’ ভালবাসা বলে আসছিলেন।
রুপার্ট মারডক টনির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন এবং টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি। গত জুনে মিস ডেংয়ের সঙ্গে ডিভোর্সের ফরমে স্বাক্ষর করার পর আর যোগাযোগ রাখছেন না মারডক। টনি ব্লেয়ার কয়েকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও মারডক তার সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
রুপার্ট মারডকের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, গত বছর অক্টোবরের দিকে এবং এ বছর এপ্রিলে ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িতে ডেং ও ব্লেয়ার একান্তে সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়েছেন। এটি ওই বাড়িতে কর্মরত কর্মচারীরাও স্বীকার করেছেন। টনি-ডেংয়ের এই অভিসার মারডকের অজান্তেই ঘটেছিল।
মারডকের অজ্ঞাতে টনি এবং ডেং আরো কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যে তারা মারডকেরই লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসায় একটি সাপ্তাহিক ছুটিতে অন্তরঙ্গ সময় কাটান। এছাড়া লন্ডন ও নিউ ইয়র্কেও কয়েকবার তারা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
তবে কোনো পত্রিকাই টনি এবং ডেংয়ের মধ্যে অশালীন কোনো সম্পর্কের প্রমাণ দেখাতে পারেনি। টনি ব্লেয়ারের পক্ষ থেকে তার বন্ধুরা বারবার এটাকে বলে আসছেন, ‘মিস ডেংয়ের সঙ্গে টনির অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। তারা স্রেফ বন্ধু।’
৮২ বছর বয়সী মারডক এবং ৪৪ বছর বয়সী ডেং তাদের বিচ্ছেদ পাকাপোক্ত করেছেন। গত সপ্তাহে আমেরিকার একটি আদালতে তারা তাদের সম্পর্কের ইতি টানেন।
এরপর মারডক এবং টনি দুই শিবিরের মধ্যেই তিক্ত কথার লড়াই চলছে। টনি ব্লেয়ারের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেন, ‘রুপার্ট মারডক টনি ও ওয়েন্ডির মধ্যে হাস্যকর গল্প বলে বেড়াচ্ছেন। ওগুলো সত্য নয়। ওগুলো এক বুড়ো, দুঃখী মানুষের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু না।’
নিউজ করপোরেশন বস মি মারডকের এক বন্ধু বলেন, ‘আর কখনোই টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখতে চান না রুপার্ট মারডক।’
এই মিডিয়া মোঘলের মালিকানায় এখনো দ্য সান ও দ্য টাইমস পত্রিকা বের হচ্ছে।
মি. মারডকের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ‘রুপার্ট খুব খুতিয়ে খুতিয়ে ব্যাপারটা নিয়ে ভেবেছে এবং এটা নিয়ে খুব সতর্ক ছিল। এটা কোনো তুচ্ছ সিদ্ধান্ত নয়। আপনি যদি মনে করেন, বিয়ে এবং দীর্ঘ সময়ের বন্ধুত্ব কোনো সঠিক কারণ ছাড়াই তিনি ভেঙে দিয়েছেন, তাহলে আপনি ভুল করবেন।’
মারডককে অনেক দিন ধরে চিনেন, এমন এক ব্যক্তি বলেন, ‘রুপার্ট ও ডেংয়ের বিয়েটা অনেক দিন ধরেই নড়বড়ে ছিল। কিন্তু ব্লেয়ারের ঘটনাটি আর সম্পর্কটিকে বাঁচিয়ে রাখল না।’
বৃটিশ রাজনীতিতে মারডক ও টনি ব্লেয়ারের সম্পর্কটা একটি শক্তিশালী জোটের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।