যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে টিকফা চুক্তি সই
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি (টিকফা) সই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সোমবার এ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
টিকফায় সইকারী কোনো পক্ষই চুক্তির শর্ত পালন করা বাধ্যতামূলক নয়। টিকফার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে দু দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠা। টিকফার শর্ত মতে, রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতি শিথিলের ওপর জোর দেওয়া হবে।
এক দশক আগ থেকে টিকফার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে এ চুক্তি আটকে ছিল। অবশেষে গত জুনে টিকফা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
টিকফা সইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক হলে চুক্তির শর্ত দু দেশের মধ্যে বছরে একবার শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠক হবে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৪২ দেশের সঙ্গে দিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে। আরও ৮টি দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। আর বিশ্বের ৯০টি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, টিকফার মাধ্যমে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। বামপন্থি দলগুলোসহ সরকারবিরোধীরা বলছে, এ চুক্তিতে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে।
টিকফা চুক্তিকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ)।
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোসহ বিভিন্ন স্থানে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে বামপন্থি ছাত্র আন্দোলনগুলো।