ব্রিটেনে তিন বাংলাদেশী আটক
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ: ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারের মোরকম্ভ এলাকার মেরিন রোড সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত কারী লিফ নামক রেস্তোরা থেকে গত বৃহস্পতিবার কাজের সময়কালীন এনফোর্সম্যান্ট এজেন্সির সন্দেহবশত: জেরার সময় তিন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়। হোম অফিস সূত্র জানায়, জেরার সময় তারা জানতে পারেন, এই তিন বাংলাদেশী অবৈধ ভাবে ব্রিটেন অবস্থান করছেন, যাদের একজন একেবারেই অবৈধ উপায়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছিলেন। আর দুজনের ভিসার মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। হোম অফিসের বিশেষ এনফোর্সম্যান্ট টিম এসময় এই আটককৃত তিনজনকে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যান। জানা গেছে, তাদেরকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে।
উপস্থিত অন্য এক বাংলাদেশী মোবাইল টেলিফোনে জানিয়েছেন, হোম অফিসের ঐ টিম তাৎক্ষনিক ভাবে কারী লিফের ম্যানেজার কাম মালিকের হাতে ১০,০০০ পাউন্ড করে প্রত্যেকের বিপরীতে জরিমানা স্লিপ নির্দেশনা সহ একনোলেজম্যান্ট সাইন সহ কপি হস্তান্তর করে যায়। হোম অফিসের মুখপাত্র ডেইলি মেইল সানডে টুইটার বার্তায় লিখেছেন, পরিচিত আত্মীয়স্বজনেরাই অধিকাংশ ক্ষেত্র ক্যাপিটার চাইতে, অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের পাকড়াও করার ক্ষেত্রে সূত্র হিসেবেই তাদের কাছে বেশী নির্ভরযোগ্য মনে হচ্ছে ।
উল্লেখ্য বর্তমানের ক্যামেরুন-নিক ক্লেগের কোয়ালিশন সরকার অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে চলেছে। হোম অফিস এনফোর্সম্যান্ট টিম বাসে, ট্রেনে, বাসা, বাড়ী, রেস্টুরেন্ট, কারখানা, ভেজিটেবল মার্ট, পোল্ট্রি ফার্ম, সুপার মার্কেট টেসকো, আসডা, সেইনসবারী, মরিসন, আলদী প্রভৃতি শপ ও ওয়ার হাউস, আন্ডারগ্রাউন্ড, সর্বত্র যখন তখন হানা দিচ্ছে। সন্দেহজনদের আইডি ও পাসপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখতে চাচ্ছে।যাদের কাছে তাৎক্ষনিক এই সব কাগজ পত্র নেই কিংবা হোম অফিস সূত্র থেকে ঐ সময় কোন কনফার্মেশন ঐ ভিজিলেন্স টিম অবহিত না হচ্ছে, তাদেরকে আটক করে নিয়ে ডিটেনশন সেন্টারে রাখছে। ডিটেনশন সেন্টার থেকে তারাই কেবল বের হয়ে আসতে পারছেন, যাদের ন্যূনতম কাগজ পত্র ও প্রয়োজনীয় ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে সক্ষম, সলিসিটরের জিম্মায় তাদেরকেই রিলিজ করে দেয়া হয়, বাকীদের দেশে পাঠানোর তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। আর যাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যায় ডিপোর্টেশনের ব্যাপারে, হোম অফিস তখনি ঐ সব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে বসে।