কুমিল্লায় সংঘর্ষে বিজিবি সদস্য নিহত
কুমিল্লা মহানগরীতে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)-পুলিশ-র্যাবের সাথে বিএনপি-জামায়াত কর্মীসহ এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি বিনিময়, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিজিবি সদস্য রিপন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরো ১৪ পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ১৮ দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য মাহমুদুল হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নগরীর চর্থা এলাকায় গতকাল বিকালে এ ঘটনা ঘটে। নগরীর চর্থা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাতে নিহত ছাত্রদলকর্মী দেলোয়ারের লাশ গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় তার বাড়িতে আনা হলে ১৮ দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। এতে ১৪ পুলিশ ও ফটো সাংবাদিক এম সাদেক, এন কে রিপনসহ অর্ধশতাধিক ১৮ দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আহত হয়েছে একপর্যায়ে বিকালে বিজিবি-র্যাবসহ পুলিশের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। এসময় ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আবারো সংঘর্ষ, গুলি বিনিময়, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিজিবি ও পুলিশের ১৫ সদস্য আহত হয়। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত বিজিবি সদস্য রিপনকে (২৫) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত বিজিবি সদস্য রিপন মাগুরা জেলা সদরের হাজীপুর গ্রামের লিয়াকত আলী মোল্লার পুত্র। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য মাহমুদুল হাসানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। জেলা পুলিশের ডিআইও-১ মো. কামাল উদ্দিন জানান, আহত অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশের পুলিশ লাইনস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নগরীতে আতংক বিরাজ করছে। এদিকে সোমবার রাতে দেলোয়ার হোসেন নামের ছাত্রদল কর্মী নিহতের ঘটনায় থানার এসআই বিকাশ মন্ডল বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুই-আড়াইশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার জানান, নিহত দেলোয়ার ছাত্রদল কর্মী এবং সে পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও পুলিশ গুলির ঘটনাকে ‘বোমা ও ককটেল’ বিস্ফোরণের ঘটনা দেখিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করেছে।