আমীরে মজলিসের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপ-প্রচার থেকে বিরত থাকুন : মাওলানা ফয়েজ আহমদ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং দলের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং যুক্তরাজ্য শাখার সেক্রেটারি মাওলানা ফয়েজ আহমদ।
সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা ফয়েজ বলেন, বাংলাদেশের চিহ্নিত একটি গোষ্টী প্রিন্সিপাল হাবীবের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করাকেই তারা তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছে। বিবেক দেউলিয়া চক্রটির এই ঘৃণ্য কর্মকান্ড নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা এই অপকর্মটি চালিয়ে আসছে। আর দুঃখজনক ব্যাপার হল সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা বিবর্জিত কিছু হলুদ মিডিয়াও এই অপ-প্রচারে ইন্ধন যুগিয়ে থাকে। অতি সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলো ও মানবজমীন সহ অন্যান্য পত্রিকায় খেলাফত মজলিস সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন জাতির জন্য হতাশাজনক।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করার পর লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিক্রিয়াশীল এই অংশটি আবার মাঠে নেমেছে। প্রিন্সিপাল হাবীবের দল নাকি আওয়ামীলীগের দালাল হয়ে গেছে! স্বতন্ত্র সমমনা কয়েকটি দলের সাথে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার ভিত্তিতে জোট করার সাথে আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার কি সম্পর্ক, সেটা তারাই জানেন। দলের আমীর কর্তৃক জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত’ আওয়ামী মহাজোটের সাথে যাবার কোনো পরিকল্পনা বা সম্ভাবনা নাই’ এমন বিবৃতি দেয়ার পরও। ওই সকল দলছুট এবং বিশেষ দলের করুণাভিক্ষুক এই অংশটিকে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি ভিভ্রান্তি ছড়ানো সকল মহলকে সতর্ক করে দিয়ে মাওলানা ফয়েজ আরো বলেন, এই আওয়ামী সরকারই কিছুদিন আগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিসে তল্লাসির নামে তান্ডব চালিয়েছিলো। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রাহ সব সময় এদের ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন এবং তাদের সকল ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্ছার। আর আমীরে মজলিস প্রিন্সিপাল হাবীব আজীবন নাস্তিক-মুর্তাদ বিরোধী আন্দোলনের আপোষহীন এক সিপাহসালার। সুতরাং অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে প্রিন্সিপালের অগ্রযাত্রাকে দমানো যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি কিছু মিডিয়া যে কোনো ছুতোয় প্রিন্সিপাল হাবীবের সাথে আফগানিস্তানকে টেনে আনেন! সেই সকল মিডিয়ার ভাইরা অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই কথাটি এডিয়ে যান যে, বিগত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় প্রিন্সিপাল হাবীবকে গ্রেফতার করে জঙ্গিবাদের সাথে উনার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে বের করতে তদন্ত কমিটি ৭ মাস খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু জঙ্গিবাদের সাথে প্রিন্সিপাল হাবীবের ন্যূনতম কোনো সম্পর্কও আবিষ্কার করতে না পারায় মহামান্য হাইকোর্ট প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বাতিল করে দিয়ে উনাকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু তারপরও চিহ্নিত মহলটি বারবার একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েই চলেছে।
অনেকেই কথা প্রসঙ্গে ২০০৫ সালে আওয়ামীলীগের সাথে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ৫ দফা নির্বাচনী সমঝোতা স্মারক সামনে এনে বিভিন্ন কথা বলবার চেষ্টা করেন। তাদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিতে চাই যে, সেই চুক্তি ছিলো একটি ঐতিহাসিক বিষয়। সেই চুক্তির ধারাগুলো দেখলেই এ কথা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তার নীতি ও আদর্শের সাথে আপোষ করে নয় বরং আওয়ামীলীগকে তার নীতি ও আদর্শের বিপরীতে নিয়ে এসে চুক্তি সই করতে বাধ্য করেছিলো। আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট সবাই কথাবার্তায় আরো দায়িত্বশীল হবেন।
মাওলানা ফয়েজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সকল নেতাকর্মীদেরকে অপ প্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে চালিয়ে যাবার জন্য উদার্ত আহবান জানান।