আবু কাতাদাকে জর্ডানের কাছে হস্তান্তর
জর্ডানের কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা আবু কাতাদাকে জর্ডানের কাছে হস্তান্তর করেছে বৃটেন সরকার। রোববার তার বিমান জর্ডানের উদ্দেশে বৃটেন ছেড়ে যায়। তিনি এক দশকেরও বেশি সময় বৃটেনে ছিলেন। দীর্ঘ ২০ বছর পর নিজ দেশে ফিরেছেন আবু কাতাদা। আবু কাতাদা জর্ডানের তিনজন নিরাপত্তাকর্মী, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন চিকিৎসক ও তার আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে বৃটেন ছেড়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
জর্ডানে পৌঁছানোর পর তাকে সরাসরি আম্মানের আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে। বোমা হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে তাকে। বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে জানান, জর্ডান সরকারের সঙ্গে বৃটেনের বন্দিবিনিময় চুক্তির মধ্য দিয়ে আবু কাতাদার জর্ডানে ফেরার মামলাটির অবসান ঘটলো।
বৃটেনের জনগণ এই বিষয়টি স্বাগত জানাবে বলেও মনে করলেন তেরেসা।
২০০১ সাল থেকে আবু কাতাদাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে বৃটেন। নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে নাÑ জর্ডান ও বৃটেন এমন চুক্তি স্বাক্ষর করার পর আবু কাতাদার নিজ দেশে ফেরার পথ সুগম হয়। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানের নাগরিক আবু কাতাদার আসল নাম ওমার ওসমান। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জর্ডানের কাছে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে তিনি বৃটেনের স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনে আবেদন করেন।
এই আবেদন আবু কাতাদার পক্ষে গেলে তাকে জর্ডানে ফেরত পাঠানো পথ বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের মে মাসে আইন অনুসারে সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা পেলে জর্দানে ফিরে যেতে রাজি হন আবু কাতাদা।
১৯৯৯ সালে আবু কাতাদার অনুপস্থিতিতে জর্ডান সরকার তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দেয়। পরে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনার অভিযোগে আরো ১৫ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। আবু কাতাদা ২০০২ সাল থেকে বৃটেনে ছিলেন।
এর আগে তাকে জর্ডানে ফেরত পাঠানোর জন্য জর্ডান-বৃটেনের অনেক প্রচেষ্টা ব্যর্থও হয়। বিবিসি।