অপহরনের দায়ে আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা করবে মুরসি পরিবার
আবুল কালাম আজাদ মিসর: মিসরের সাবেক নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসির সাথে দীর্ঘদিন পরিবারের কোন যোগাযোগ না থাকায় এবং তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্যাউবুনালের সাহায্য নিবে মুরসি পরিবার। সোমবার ইঞ্জিনিয়ারস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন মুরসির ছেলে আইনজীবী ওসামা মুরসি। তাছাড়া সেনা অভ্যুথানের সরকারের সংবিধানসহ কোন কিছুই মেনে নেবে না শুরা কাউন্সিল।
সম্মেলনে মুরসির কন্যা সায়মা মুরসি বলেন আমার বাবাকে সেনারা একরম গুম করে ফেলেছে। তার সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তা প্রত্যাখান করেছে তারা। এমনকি তিনি সম্পুর্ন নির্দোষ থাকা সত্বেও নানা কৌশলে অপরাধী করার মিথ্যা চেষ্টা করছে। সম্মেলনে অন্য ছেলে আহমদ মুরসিসহ অন্যান্য সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এক সম্মেলনে দেশ থেকে ইসলাম মুছে দেয়ার নিমিত্বে যে সংবিধান তৈরী করছে সেনারা তা প্রত্যাখান করেছে শুরা কাউন্সিল। আলোচনায় ফ্রিডম এন্ড জাষ্টিজ দলের ভাইস প্রেসিডেন্ড ড, ইসাম আল ইরিয়ান বলেন, সেনা অভ্যুথানে আমেরিকার সমর্থন অকল্যান বয়ে আনবে। এছাড়া সম্মেলনে মুরসি সমর্থক ৪ মহিলা নিহত করার নিন্দা জানায়। তাছাড়া মুরসিকে মুক্ত করা ও দেশ জুড়ে হত্যা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমাবার দুপুরে কায়রো আব্বাসিয়া, জাতীয় সুপ্রিম কোর্ট, লুবনান স্কয়ার, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ারসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছে তার ভক্তরা। অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মহিলা কর্মী হত্যার বিস্তারিত তুলে ধরে শহীদ পরিবার। আল আযহার গ্রান্ড ইমাম ও গ্রান্ড মুফতি ন্যাকারজনক ভাবে মহিলাদের হত্যা করায় নিন্দা জানিয়েছেন।
রাফা সীমান্তে এলাকার নাগরকিদের সাথে সংঘর্ষে রোববার ৬ সেনা নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরো ৭ জন। ব্যাংকে টাকা তোলার ঘটনা নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হলে সেনারা জনগনের উপর হামলা চালায় পরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। তবে সেনারা বলছে জঙ্গিরা তাদের উপর হামলা করেছে।
সোমবার বিকেলে মিসরজুড়ে দশ লক্ষাধিক লোকের বিক্ষোভে এই নিউজ লেখা পর্যন্ত কায়রোর নাসের সিটিসহ একাধিক এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়ের হতে শুরু করেছে। বিকেল না হতেই অনেক এলাকা কানায় কানায় পুর্ন হয়ে যায়।