এরশাদ ও কাজী জাফর পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আজ বৃহস্পতিবার দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদকে বহিষ্কার করেছেন। এরপর কাজী জাফরও এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে এরশাদকে বহিষ্কার করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বারিধারার একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জানান, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরশাদ বলেন, আজ থেকে তিনি আমাদের সাথে নেই। তার বহিষ্কারপত্রে আজ সাক্ষর করে এখানে এসেছি। অনেক ধৈর্য ধরেছি। তাকে চিকিৎসা করিয়ে আমি নতুন জীবন দিয়েছিলাম। কিন্তু সাথে রাখতে পারলাম না। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। নাটকীয়ভাবে অবস্থান পরিবর্তন করে নির্বাচনকালীন সরকারে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এরশাদের কঠোর সমালোচনা করেন কাজী জাফর। তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টিতে নেই বলেও ঘোষণা দেন। কাজী জাফর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অনুষ্ঠানে এরশাদ আরো বলেন যে আগামী সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত তারিখে হতে পারবে কি না সে ব্যাপারে তিনি সন্দিহান। পরে কাজী জাফর জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ৩৭ নম্বর ধারা বলে এরশাদকে বহিষ্কার করে একটি চিঠি ইস্যু করেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এরশাদ তাকে যেভাবে বহিষ্কার করেছেন, তা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। গঠনতন্ত্রে প্রেসিডিয়াম বৈঠক ছাড়া কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা দলের চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়নি। তিনি দাবি করেন, তিনিই এখন জাতীয় পার্টির বৈধ নেতা।