ইইউ অভিবাসীদের জন্য কড়াকড়ি বাড়বে
যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
ডেভিড ক্যামেরন গতকাল বুধবার অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া-সংক্রান্ত আইন কঠোর করার ওই ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত আগামী ১ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে বুলগেরিয়া ও রুমানিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী আসার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বলে যে আশঙ্কা রয়েছে, সে কারণেই এ পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ পত্রিকাফাইনান্সিয়াল টাইমস-এ এক লেখায় ক্যামেরন অভিযোগ করেছেন, সাবেক লেবার দলের সরকার পোল্যান্ডসহ ১০টি নতুন ইইউ সদস্য দেশকে ব্রিটিশ শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে একটি ‘পর্বতপ্রমাণ ভুল’ করেছে। ২০০৪ সালে ইইউতে যোগ দেওয়ার সময় দেশগুলোকে ওই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
ক্যামেরনের নতুন পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাজ্যে আসার পর প্রথম তিন মাসে ইইউ দেশের অভিবাসীরা কোনো প্রকার বেকার ভাতা পাবেন না। আর ছয় মাসের মধ্যে তাঁরা যদি চাকরির ‘প্রকৃত’ সুযোগ না পান, তাহলে সব ধরনের আর্থিক সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন লিখেছেন,‘আমরা এ কারণেই আইনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি, যাতে করে কেউ যুক্তরাজ্যে এসে তাৎক্ষণিকভাবেই বেকার ভাতা দাবি করতে না পারে।’
অভিবাসনবিরোধী গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাইগ্রেশন ওয়াচ ইউকের হিসাবে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর আগামী পাঁচ বছরের প্রতিবছরে ৫০ হাজারের মতো বুলগেরীয় ও রুমানীয় যুক্তরাজ্যে আসবে। যদিও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বুলগেরীয় রাষ্ট্রদূতের দাবি, এ সংখ্যা বছরে আট হাজার ছাড়াবে না।
এদিকে এক প্রতিক্রিয়ায় ইইউর কর্মসংস্থান কমিশনার বলেছেন, অভিবাসীদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ সত্য’ ব্রিটিশ জনগণকে জানানো হয়নি। ‘আকস্মিক উম্মাদনা’ না ছড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা ‘যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটা বাজে দেশ হিসেবে উপস্থাপন’ করতে পারে।