জাপানে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট জয়ী
জাপানের ক্ষমতাসীন জোট দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। উচ্চকক্ষের নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর গতকাল এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।
জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও এর শরিক দল নিউ কোমেইতোর জয় সরকারের অর্থনীতির প্রতি জনসমর্থনের কথাই প্রমাণ করেছে।
উচ্চকক্ষের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ক্ষমতাসীন জোটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। এর ফলে গত দুই দশকের অর্থনৈতিক মন্দাভাব কাটাতে অ্যাবের গঠনমূলক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হলো।
উচ্চকক্ষের ২৪২ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের এখন আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৩৫। উচ্চকক্ষে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপানের আসন সংখ্যা মাত্র ৫৯। সংবাদ সংস্থা কিয়োডোর খবরে বলা হয়, উচ্চকক্ষের নির্বাচনে মাত্র ৫২ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। উচ্চকক্ষের মোট আসনের অর্ধেক আসনে রোববার নির্বাচন হয়েছে। প্রতি তিন বছর পরপর উচ্চকক্ষের মোট আসনের অর্ধেক আসনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর এলডিপি মহাসচিব শাইগেরু ইশিবা বলেন, ‘সত্যিই বলছি, নির্বাচনের ফলে আমরা খুবই খুশি।’
তিনি বলেন, ‘জয়ের ফলে উভয় কক্ষে ক্ষমতাসীন জোটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। এটা দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে।’ বিবিসি ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অর্থনৈতিক কর্মসূচির কারণে আগে থেকেই তাদের জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছিল। যে কর্মসূচির কারণে মন্দা ও অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে এশিয়ার উন্নত দেশটির অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও বলেছেন, প্রত্যাশিত ফলাফলটি ছিল তার অর্থনৈতিক সংস্কারের পুরস্কার। তিনি চাচ্ছেন জাপানের অর্থনীতি অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুক।
জাপানের পার্লামেন্টে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলে আসছিল। এর সূত্র ধরেই একাধিক প্রধানমন্ত্রীকে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবেও আস্থাহীনতার কারণে একবার পদ হারিয়েছেন।
রোববারের নির্বাচনে ২০১০ সালের উচ্চকক্ষ নির্বাচনের চেয়ে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া। নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাশিত হলেও একে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার দলের জন্য বড় ধরনের অর্জন বলা হচ্ছে।