সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সিইসি

Rakib‘আলোচনা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রস্তুত। তবে কবে নাগাদ সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে এবং কী পরিমাণ সদস্য কাজ করবে সে বিষয়টি শিগগিরই রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ বর্তমান পরিস্থিতিতেও আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। তবে এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা এখনও সমঝোতার আশা ছাড়িনি।’
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও আগামী নির্বাচনে সহায়াতার আশ্বাস দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ‘৭৩ সাল থেকে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে সহায়তা করে আসছে। এবারেও এর ব্যতিক্রম হবে না। তাছাড়া তাদের সহায়তা ছাড়া কেবল পুলিশ, বিজিবি দিয়ে একদিনে ৩শ আসনে নির্বাচন করা সম্ভব না। তাই তাদের সহায়তা আমরা নিবো।’
একতরফা নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ‘বিতর্কিত’ হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিতর্কের কিছু এখানে নেই। আর নির্বাচনও একতরফা নয়। আমরা সমঝোতার সময় দিয়েছি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিনই তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। তবুও আমরা কয়েকদিন পিছিয়েছি। আমরা এখনও আশাবাদী রাজনৈতিক দলগুলো একটা সমঝোতায় পৌঁছবে।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহায়তা করছে। আমাদের অফিস, অফিসার ও নির্বাচনের সামগ্রী ঠিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও যাতে না হয়, সে বিষয়টিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।’
লাভজনক পদ সম্পর্কে সিইসির কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন, ‘পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর কমিশনার, ইউপি কাউন্সিলররা লাভজনক পদে নেই।’ তবে নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী কাজে তারা কেউ সরকারি কোনো সামগ্রী ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সকাল ১১টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সিইসির বৈঠক শুরু হয়। সিইসির সভাপতিত্বে এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মোশতাক আহমেদ, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. আবু বেলাল মো. শফিকুল হক, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, এসবি, ডিজিএফএই, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান ও প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কোনো বাহিনীর কেউ সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button