ইস্ট লন্ডন মসজিদের ট্রাষ্ট্রি বোর্ডের নির্বাচন সম্পন্ন
হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আইয়ুব খান সেক্রেটারী, আব্দুল মালিক ট্রেজারার
ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ৫৪তম সাধারণ সভা ও ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মুহাম্মদ সিদ্দিক, সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়েছেন আইয়ুব খান এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ আব্দুল মালিক। গত ২৯ সেপ্টেমবর লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সেমিনার হলে এ সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত অন্যান্য ট্রাষ্টিরা হচ্চেছন সর্বজনাব ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী, সিরাজুল ইসলাম, হাসান সিরাজ সালেকীন, ইসমাইল জামা সালেহ, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম কামালী, রাহেলা চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম হীরা, শফিউর রহমান, সাঈদা আঞ্জুমারা বেগম ও বাক্বাল্লাহ ইবনে ফায়েজ। উল্লেখ্য, সাধারণ সভায় ইস্ট লন্ডন মসজিদ ট্রাস্টের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী ৭৮ জন সদস্যের প্রকাশ্য ভোটে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাষ্টি বোর্ড নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নির্বাচিত ট্রাস্টি বোর্ডের প্রথম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ার, ভাইস চেয়ার, সেক্রেটারী ও ট্রেজারার নির্বাচিত হন। এছাড়াও, ট্রাষ্টি বোর্ড সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে আরো ৪জন ট্রাষ্টি অ্যাপয়েন্ট করে। সবমিলিয়ে নতুন ম্যানেজমেন্ট কমিটির ট্রাষ্টি সংখ্যা ১৪।
সাধারণ সভা ও নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ইস্ট লন্ডন মসজিদ ট্রাষ্টের দীর্ঘকালীন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ আবদুল বারী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। তিনি প্রায় এক যুগ মসজিদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি তাঁর বিদায়ী বক্তব্যে বলেন, ২০০২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ঐতিহাসিক ইস্ট লন্ডন মসজিদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারায় আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। এই সময়টাতে আল্লাহর অশেষ রহমতে মসজিদের শক্তিশালী ভলন্টিয়ার টিম, স্টাফ ও ট্রাষ্টিদের আন্তরিক সহযোগিতায় এবং সর্বোপরী কমিউনিটির মানুষের সাহায্যে ২০০৪ সালে লন্ডন মুসলিম সেন্টার ও ২০১৩ সালে মারিয়াম সেন্টার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় এই মুসলিম কমপ্লেক্সে বর্তমানে প্রায় ৩৬টি প্রজেক্ট চালু রয়েছে। আমি আশাবাদী, নতুন কমিটি পেশাদারীত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে মসজিদকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাবে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো দায়িত্বশীল ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। রাসুল (সাঃ) এর সময়ের মসজিদে নববীর কর্মকান্ডের আলোকে আমাদেরকে একটি স্পন্দনশীল শক্তিশালী মুসলিম সোসাইটি গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে বিদায় নিলেও ট্রাস্টি হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে মসজিদের খেদমত করে যাবেন বলে ড. আব্দুল বারী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।