কারী শিল্পের প্রসারে ইউকেবিএ আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে

BCAবাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন সাউথ ওয়েষ্ট রিজিওন সাথে ইউকে বর্ডার এজেন্সির দ্বিতীয় সেমিনারে ইউকে বর্ডার এজেন্সি সাউথ ওয়েষ্ট আইসিই টিমের প্রধান ক্যানি চাপম্যান বলেছেন কারী শিল্পের প্রসারে ইউকে বিএ আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে। আর এ কারনে বিসিএর আহবানে সাড়া দিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের সেমিনার ব্যবসায়ীদের সাথে ইউকে বিএএর সম্পর্কের উন্নয়ন হবে এবং অবৈধ শ্রমিক সনাক্তে ও জরিমানা এড়াতে সহয়তা করবে। গত ২৭ নভেম্বর সোমবার বিসিএ সাউথ ওয়েষ্ট রিজিওনের উদ্যোগে ব্রিস্টলের বাংলাদেশ হাউজে ইউকে বর্ডার এজেন্সির সাথে ‘ডেভলাপিং ট্রাষ্ট থ্রো রিজিওনাল পার্টনারসিপ’ শীর্ষ দ্বিতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বিসিএ সাউথ ওয়েষ্ট রিজিওনের প্রেসিডেন্ট এনামুল হল চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন বাবুলের পরিচালনায় সেমিনারে রেস্টুরেন্টে জব এর জন্য স্পন্সার সীপ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা শেলি লডার। এসময় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ শাহাজাহান আহমদ তরফদার, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সালেহ আহমদ, কাউন্সিলার মাহমুদ খাঁন, হাসান চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহাব এমবিই, আশরাফুল ইসহাক, সৈয়দ আহমদ, আলকাছ হোসেন, মখলিছ মিয়া, সৈয়দ নুর এ কাদের জিয়াউল হক, মুসলেহ আহমদ, কে কে ফয়সল, আতিকুর রহমান, সৈয়দ আনোয়ারুল হক, মুস্তাক আহমদ, কামরুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহিদ, শফিকুল তফাদার, সিদ্দীক আহমদ, শামছুল আলম মেহেদী প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়ে আগামী বছরের মধ্যে নির্ভুল ভাবে স্টাফ সংগ্রহ করতে নতুন সিস্টেমের বায়োমেট্রিক কার্ড প্রদান করা হবে। যা দেখে একজন ব্যবসায়ী সহজেই বৈধ অবৈধ ইমিগ্রেন্ট সনাক্ত করতে পারবেন। তাছাড়া ভবিষ্যতে কিভাবে আরো নির্ভুলভাবে রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে ইউকে বিএ। সেমিনারে বক্তারা রেস্টুরেন্টের ভিজি আওয়ারে ইউকে বিএ এর অভিযান পরিচালনা বন্ধ, অভিযানের ফলে শত শত রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া সহ রেষ্টুররেন্টের শ্রমিক সংকট দুর করতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাগন ব্রিটেনের ১২ হাজার রেস্টুরেন্ট ও প্রায় ১লাখ কর্মরত শ্রমিকের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের সাথে পার্টশীপের মাধ্যমে অবৈধ শ্রমিক সনাক্তে মালিক পক্ষকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা ও অভিযান পরিচালনায় আরো বেশি সর্তকতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তারা শ্রমিক নিয়োগের পূর্বে ভাল করে পাসপোর্ট, ভিসার মেয়াদ, কাজের পারমিশন আছে কিনা তা দেখার আহবান জানান। সেক্ষেত্রে যদি কোন কারনে প্রতিষ্ঠানের মালিক নকল পাসপোর্ট সনাক্ত নাও করতে পারেন তবে অনেকক্ষেত্রে তিনি জরিমানা থেকে মাফ পেতে পারেন বলে আবরো উল্লেখ্য করেন। কর্মকর্তাগন শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে হোম অফিসের ওয়েব সাইডে গিয়ে পরিক্ষা করে দেখার আহবান জানান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button