অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ : ক্যামেরনের সমালোচনায় ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর লোকদের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের কথা উত্থাপন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তার এ প্রস্তাবে ইইউ-এর দু’জন নেতা জানিয়েছেন, বৃটেন যদি ইইউ-এর সদস্য হিসেবে থাকতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই এ অঞ্চলের দেশগুলোর নাগরিকদের অবাধে যাতায়াতের অধিকার মেনে নিতে হবে। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন যে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ চলাচলের ব্যাপারে একটা নতুন চুক্তি করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ এর ফলে এক দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ অন্য দেশে চলে যেতে প্রলুব্ধ হচ্ছে। তিনি আরো বলেছিলেন যে, জানুয়ারি মাস থেকে বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া থেকে কত লোক বৃটেনে আসতে পারে তা নিয়ে তার দেশে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো বলেছেন, কাজের জন্য অবাধে চলাচলের অধিকার ইউনিয়নের চুক্তির একটি মৌলিক নীতি যা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে ডেভিড ক্যামেরনের সাথে তার কথাও হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া ইইউর বিচারবিভাগ বিষয়ক কমিশনার ভিভিয়ান রেডিংও বলেছেন, নাগরিকদের অবাধ চলাচলের অধিকার নিয়ে কোনো দর কষাকষি করার সুযোগ নেই। বৃটিশ সরকার মনে করছে, সেখানে নাগরিক সুবিধা লাভ করা সহজ বিধায় প্রতিবছর রোমানিয়া, বুলগেরিয়াসহ বৃটেনের আশপাশের দেশ থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বৃটেনে প্রবেশ করছে। এমন ব্যক্তিদের জন্য বৃটেনে সুবিধা পাবার বিষয়টি কঠোর করতে চাইছেন ক্যামেরন। অভিবাসী নীতি নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনাও করছে ব্রিটিশ সরকার। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে ইইউভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকেরা যেনও সহজে চলাচল করতে না পারে সেই নীতি আরোপ করতে চাইছে বৃটেন। ভিভিয়ান রেডিং বলেছেন, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ইউনিয়নের নাগরিকেরা যে মুক্তভাবে চলাফেরা করে, সেটি ইইউ আইনের আওতায় সেখানকার অধিবাসীদের জন্য একটি বিশেষ অধিকার। অর্থাৎ যা কি-না চাইলেই যখন তখন খর্ব করা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, মুক্তভাবে চলাচলের স্বাধীনতাই হলো একক বাজার ব্যবস্থার আওতাভুক্ত থাকার প্রধান শর্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসী ইস্যুটি বৃটেনে ভোটারদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।