সিরিয়ায় ‘শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না নৃশংসতা থেকে’

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে আবারও নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সিরিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা গতকাল এ অভিযোগ করেছেন। মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ মতে সরকারি বাহিনীর নৃশংসতার হাত থেকে নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।
মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, সিরিয়ার উপকূলীয় শহর বানিয়াসের কাছে বেইদা গ্রামে একটি পরিবারের অন্তত ১৩ জন সদস্যকে সরকারি বাহিনী হত্যা করেছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। নারী এবং শিশুদের একটি বাড়িতে বন্দি করে সেই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।
আরও উত্তরের ইদলিব প্রদেশের আরিহা শহরে সরকারি বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু ও আরও অনেকে আহত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সিরিয়ায় একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে, সুন্নি অধ্যুষিত বেইদা গ্রামে নিহত পরিবারটির সদস্যদের মধ্যে চারজন নারী এবং ছয় শিশু ছিল।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বলছে, সরকারি বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর সৈন্যরা প্রথমেই ফাত্তোহ পরিবারের তিনজন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তারা ওই পরিবারের নারী এবং শিশুদের একটি বাড়িতে বন্দি করে ও হত্যা করে। কিছু খবরে বলা হচ্ছে, ওই পরিবারটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অন্যরা বলছে, তাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
বেইদার কাছেই বানিয়াসে সংঘর্ষের পরই এই হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বানিয়াসের সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর বেশকিছু সদস্য নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে।
অভিযোগ রয়েছে যে, সরকার এবং তাদের সমর্থক সংখ্যালঘু আলাওয়ী সম্প্রদায় ওই এলাকা থেকে সুন্নিদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত মে মাসে বেইদা ও বানিয়াসে বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া গিয়েছিল, সে ঘটনাকে বর্ণনা করা হচ্ছিল সুন্নিদের ওপর সাম্প্রদায়িক গণহত্যা হিসেবে।
এদিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের আরিহা শহরের একটি ব্যস্ত বাজারে সরকারি বাহিনী মর্টার ও গোলাবর্ষণ করেছে। সেখান থেকে কিছু ভয়াবহ ভিডিওচিত্র প্রকাশ হয়েছে, যাকে মানবাধিকারকর্মীরা রক্তগঙ্গা হিসেবে বর্ণনা করছেন। সেসব ভিডিওচিত্রে দেখা যাচ্ছে, শহরের রাস্তায় অসংখ্য ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
ইদলিবের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশই বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তবে সিরিয়া সরকার সম্প্রতি সেখান থেকে বিদ্রোহীদের সরিয়ে দেয়ার জন্য নতুন অভিযান শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button