ইসলাম নির্মূল নীতি ও হানাহানি পরিহার না করলে আল্লাহর গজব অনিবার্য

দেশ থেকে ইসলাম ধ্বংস করার জন্য দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা বেশামাল হয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়া, কুরআন সুন্নাহ বিরোধী নারীনীতি অনুমোদন, ইসলাম বিরোধী শিক্ষা নীতি প্রণয়ন, আল্লাহ, মহানবী (সা) ও ইসলাম নিয়ে ব্যাঙ্গকারী ব্লগারদের প্রশ্রয়সহ দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের চক্রান্তকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা উক্ত ষড়যন্ত্রেরই অংশ। দেশের শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামের দুশমনরা তাদের পথের কাটা দূর করতেই দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক নির্যাতন ও মামলার পথ বেছে নিয়েছে।  ইসলামের ফরজ বিধান ইসলামী রাজনীতি তথা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে তারা সরাসরি আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতসহ দুনিয়ার কোন অমুসলিম-কাফির দেশেও এ সাহস কেউ দেখায়নি। গঠনতন্ত্রে মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি থাকার অপরাধে এদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী দলসমূহের নিবন্ধন বাতিলের দুঃসাহস দেখানো হচ্ছে। এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই নিছক ঈমানী তাগিদে ও দেশ রক্ষার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঈমানী আন্দোলনে শামিল হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি এবং আগামী ২৪ ডিসেম্বর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ সফল করার জন্য দ্বীনদার মুসলমানদেরকে সর্বশক্তি নিয়োগ করে বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন শীর্ষ আলেমেদ্বীন, রাবেতা আলম আল ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপিত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত ও ইসলামী দলসমূহের আহ্বায়ক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ইসলামী দলসমূহের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি শাহতলীর পীর মাওলানা আবুল বশর, তাহরিকে খতমে নবুয়াতের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী পীর, মীরের সরাইর পীর মাওলানা আঃ মোমেন নাছেরী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব শর্ষীনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, টেকের হাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, জাতীয় ফতোয়া বোর্ড সভাপতি প্রফেসর ড. মাওলানা ইহইয়ার রহমান, জমিয়তে উলামায়ে দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী, খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ফখরুল ইসলাম, আহকামে শরীয়াহ হেফাজত কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি মাহবুবুর রহমান ও সদস্য সচিব মাওলানা আবদুস সবুর, জাতীয় তাফসীর পরিষদের সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমীন, ইসলাহুল মুসলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, ইসলামের জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সেক্রেটারি ড. মাওলানা আবদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপতি হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারি মুফতি মাহবুবুর রহমান, চরমোনাইয়ের পীর (মরহুম ফজলুল করীম সাহেবের ভাই) মাওলানা ফিরদাউস বিন ইসহাক, জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতি মাওলানা মাসউদুর রহমান, ইসলাহুল উম্মাহ চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানিফ নেসারী, ইসলামী অন লাইন এ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, নাস্তিক মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি আবদুল কুদ্দুস, ইমাম কল্যাণ সমিতির সভাপতি পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা আবু দাউদ জাকারিয়া, মুফতি আবদুল কাউয়ূম আযহারী, তালিমুল কুরআন সোসাইটির মহাসচিব মুফতি আবদুল হালিম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারি মুফতি নূর হোসাইন, জাতীয় ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এ.বি.এম শরিফুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসলামী সমাজ সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি জাকারিয়া ইসলাহী, ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা সালেহ সিদ্দিকী ও সেক্রেটারি মুফতি জুবায়ের আহমদ, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুল মোবিন, মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন আজহারী, তাহরীকে খতমে নবুয়্যাতের আমীর মুফতি ড. সৈয়দ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মহাসচিব পীর মাওলানা শরীফ হোসাইন, জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি মুফতি মাওলানা ইহইয়ার রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল শাইয়খ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ আইম্মাহ পরিষদ সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এনামূল হক মূসা, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের আমীর মাওলানা আবদুল বাকি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মনিরুজ্জামান, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের আমীর আধ্যাত্মিক গুরু শাইখ নুরুল হুদা ফয়েজী জেনারেল সেক্রেটারি আল্লামা মুস্তাক ফয়েজী, ইসলামী ঐক্য মঞ্চ সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন সেক্রেটারি আবদুস সাত্তার, খাদেমুল ইসলাম জামাত আমীর মাওলানা মুহিবুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সারওয়ার হোসাইন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button