ইইউর কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে হিজবুল্লাহ
লেবাননের শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজুবল্লাহর সামরিক শাখাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক স্থাপনেরও লক্ষ্য স্থির করেছে সংস্থাটি।
সোমবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সংস্থার সদর দফতরে ইইউভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেশী সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হিজবুল্লাহর জড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এ বৈঠকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা ফের শুরু করার নতুন সম্ভাবনা এবং মিসরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রীরা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কয়েক মাস আগে জড়িত হয় লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সামরিক শাখাটি। এতে বাশারবিরোধীদের সমর্থক পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। বিশেষত ক্ষিপ্ত ও আতঙ্কিত হয় ইসরায়েল।
হিজবুল্লাহ ইরানের ঘনিষ্ঠ এবং ইসরায়েলের চরম শত্রু। হিজবুল্লাহর জড়ানোর পর থেকে সিরিয়ায় কয়েক দফা হামলার হুমকিও দিয়েছে ইসরায়েল।
হিজবুল্লাহকে সন্ত্রসী সংগঠন হিসেবে ইইউর কালো তালিকাভুক্ত করতে হলে সংস্থাটির ২৮ সদস্যের সবারই সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ইইউর অনেক সদস্যদেশ মনে করছে এমন সিদ্ধান্তে লেবাননকে আরও অস্থিতিশীল করা হবে। তবে প্রস্তাবের পক্ষে চাপ প্রয়োগ করছে ব্রিটেন। এটিকে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করছে।
সোমবারের বৈঠকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, “ইউরোপের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলে তার প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত। এ কারণে এটি (কালো তালিকাভুক্ত) খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
বুলগেরিয়ায় গত বছর এক সন্ত্রাসী হামলায় ইসরায়েলি পর্যটক নিহত হয়। এ ঘটনায় হিজবুল্লাহকে দায়ী করছে ইসরায়েল। তবে হিজবুল্লাহকে কালো তালিকাভুক্ত না করতে ইইউর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লেবানন সরকার।