খালেদা-সুজাতা বৈঠক
ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত দেখতে চায়। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে ভারতের স্বার্থ জড়িত। কারণ এ অঞ্চলের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আর্থসামজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং।
বুধবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানান দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। চেয়াপারসনের গুলশানস্থ বাসভবনে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তাদের বৈঠক চলে।
শমসের মবিন জানান, আগামীতেও ভারত সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুজাতা। ভবিষ্যতে তা আরো শক্তিশালী করার ব্যাপারেও মত দেন তিনি।
তিনি জানান, তার কথা সাথে একমত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু এবং প্রতিবেশী দেশ। আমারও চাই ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক অব্যাহত থাকুক, আমরা অতীতেও কাজ করেছি এবং আগামীতেও করতে চাই।
তিনি জানান, বৈঠকে সুজাতা সিং বলেন, দু’দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ভারত। পূর্বে খালেদা জিয়ার ভারত সফরের জন্যও ধন্যবাদ জানান সুজাতা। এর প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো গভীর করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
৭ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন, মি. হার্সা ভার্দান সিরিংলা (বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালদ্বীপ বিষয়ক পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম মহাসচিব), মিসেস শ্রীপ্রিয়ার রাঙানাথ যুগ্ম মহাসচিব, ডেপুটি হাইকমিশনার মি. সন্দীপ চক্রবর্তী, অমিত শুকলা, হেড অব পলিটিক্যাল সেকশন মনোজ মহাপাত্র।
বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাথে উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বিরোধী নেতার সাথে সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বেঠক করেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথেও বৈঠক করার কথা রয়েছে।
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ৬ ডিসেম্বর সফরে আসছেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো।এর আগেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতের এই কূটনীতিক।