নবজাত রাজপুত্রকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন কেট
নবজাতককে নিয়ে সেন্ট মেরিস হাসপাতাল ছাড়লেন প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট। সাদা কম্বলে মোড়া নবজাতককে নিয়ে অপেক্ষমান উৎসুক জনতার সামনে দাঁড়ালেন তরুণ দম্পতি। তাদের নিয়ে গাড়ি রওনা হয়েছে কেনসিংটন প্রাসাদের উদ্দেশে।
জন্মের প্রাথমিক উচ্ছ্বাস কাটার পর ব্রিটেনের মানুষের কাছে এখন প্রধান প্রশ্ন- তাদের নবজাত রাজপুত্র দেখতে কেমন হয়েছে? মায়ের মতো না বাবার মতো? নাম কী রাখা হবে রাজপুত্রের?
সোমবার রাতে জন্মের খবর জানার পর থেকে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের বাইরে ভিড় করে আছে রাজপরিবার সম্পর্কে কৌতূহলী প্রচুর মানুষ। তাদের সঙ্গে উৎসাহী পর্যটকরাও ভিড় জমিয়েছে। প্রাসাদের বাইরে যে নোটিশ বোর্ডে নবজাতকের জন্মের ঘোষণা লেখা হয়েছে সেটি এক নজর দেখার জন্য লম্বা লাইন পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা এই ঘোষণা বোর্ড থাকবে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তা সরিয়ে নেয়া হবে।
রাজপুত্র এবং নতুন মাকে একনজর দেখার জন্য ছবি নেয়ার জন্য সেন্ট মেরিস হাসপাতালের সামনে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ভিড় ছিল সারাদিন।
রাজপুত্র সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যেটুকু কথা মিডিয়ার কাছে এসেছে তা সেন্ট মেরিসের চিকিৎসক মার্কাস মিচেলের কাছ থেকে। যে চিকিৎসক দলটি ক্যাথরিনের প্রসবে সাহায্য করেছে ডা. মিচেল ছিলেন তার প্রধান। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় তিনি অপেক্ষমান সাংবাদিকদের একটি বাক্যই বলেন, ওয়ান্ডারফুল বেবি অর্থাৎ চমৎকার শিশু।
নাম কী হবে রাজপুত্রের ? নবজাতকের নাম কী দেয়া হবে তা নিয়ে গভীর আগ্রহে গোটা দেশের মানুষ।
কয়েকটি সম্ভাব্য নাম নিয়ে বেটিং চলছে। তবে রাজ পরিবার এখন পর্যন্ত এ নিয়ে একেবারে চুপ। জল্পনা কল্পনার শীর্ষে রয়েছে ‘জর্জ’ নামটি। এরপর আরো যে দুটি নামের কথা বলা হচ্ছে তা হল জেমস আর আলেকজান্ডার।
তবে যেটা আগে থেকেই জানা তা হলো রাজপুত্রের টাইটেল হবে প্রিন্স অব কেমব্রিজ অর্থাৎ কেমব্রিজের রাজপুত্র। তার বাবার অর্থাৎ উইলিয়ামের পদবি, ডিউক অব কেমব্রিজ আর মা ক্যাথরিনের পদবি ডাচেস অব কেমব্রিজ।
ব্রিটেনে যদি রাজতন্ত্র টিকে থাকে তাহলে নবজাত এই রাজপুত্র হবে বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত রাজতন্ত্রের তিন নম্বর উত্তরাধিকারী।
বিবিসির রাজপরিবার বিষয়ক সংবাদদাতা নিকোলাস উইচেল বলছেন, সে কারণেই আজীবন ব্রিটিশ মিডিয়ার গভীর আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে হবে তাকে। মিডিয়ার সামনে থেকে একটা বয়স পর্যন্ত ছেলেকে আগলে রাখাই হবে বাবা উইলিয়াম এবং বা কেটের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।