মামলার সঠিক ও পুনর্বিচার দাবি কাদের মোল্লার পরিবারের
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, অসমর্থিত ও অনির্ভরযোগ্য একমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডদেশ দিয়েছেন। অথচ ওই সাক্ষী মোমেনা বেগম আদৌ আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। ক্যামেরা ট্রায়ালের সুযোগে রাষ্ট্রপক্ষ ভুয়া মহিলাকে মোমেনা বেগম সাজিয়ে আদালতে বক্তব্য দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে সংগৃহীত ছবি সংগ্রহ করে আইনজীবীর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে সাক্ষী মোমেনা আর প্রকৃত মোমেনা এক ছিলেন না।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম এ অভিযোগ করেন। এ সময় তাদের ছেলে ও মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্য এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহানারা বেগম বলেন, গত ৪০ বছরে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেশের কোথাও একটি অভিযোগ দায়ের হয়নি। অথচ কথিত মোমেনা বেগম নামে এক মহিলাকে দিয়ে তাকে (কাদের মোল্লা) ভয়ানক খুনী বানানো হয়েছে। আমরা মনে করি এটি নজিরবিহীন একটি ভুল রায়।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে মামলার সঠিক ও পুনর্বিচার দাবি জানান তিনি।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল বলেন, উপমহাদেশের ইতিহাসে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড না দেয়া স্বত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার এটাই একমাত্র ঘটনা। এখন সংবিধান অনুসারে তার আপিল রিভিউ করার অধিকার রয়েছে। যেহেতু একজন বিচারপতি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিরোধিতা করেছেন, তাই রিভিউ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি সরকার তড়িঘড়ি করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করছে। রিভিউ করার অধিকার না দিয়ে এবং জেল কোডের বিধান অনুসরণ না করে দ্রুত ফাঁসি দেয়ার যে চেষ্টা চলছে তা সর্বজনীন মানবাধিকারের পরিপন্থী। আপিল রিভিউর সুযোগ পেলে সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়গুলো তুলে ধরার মাধ্যমে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টে দেয়া সম্ভব।