সিলেটে পুলিশের বহনকারী গাড়িতে আগুন
বিরোধী জোটের অবরোধ ও জামায়াতের হরতালে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে পুলিশবহনকারী একটি টেম্পোতে আগুন দিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশবহনকারী টেম্পোটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে পুলিশের বেশ কয়েকটি হেলমেট ও জ্যাকেট পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আয়ুব।
এর আগে সুবিদবাজার এলাকায় দুটি ও মেডিকেল রোডে একটি অটোরিশকায় আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আয়ুব জানান, বেলা পৌণে ১টার দিকে শিবগঞ্জ বাজারে ৮-১০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় শিবিরকর্মীরা। এ সময় শিবগঞ্জ পয়েন্টের কাছে (উপশহর সড়কে) অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা বাজারের দিকে এগিয়ে গেলে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে পেট্রোল ঢেলে পুলিশবাহী টেম্পোতে আগুন ধরিয়ে দেয় শিবির কর্মীরা।
পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি বলেন, আগুনে টেম্পো ও তার ভেতরে রাখা পুলিশের ৬টি হেলমেট ও কয়েকটি জ্যাকেট পুড়ে গেছে।
বেলা সাড়ে ১২টায় নগরীর সুবিদবাজারে ব্লু-বার্ড স্কুলের সামনের সড়কে দুইটি এবং বেলা সোয়া ১টায় মেডিকেল রোডে একটি অটোরিকশায় আগুন দেয় হরতালকারীরা।
মোটরসাইকেলে ঝটিকা মিছিল নিয়ে এসে অটোরিকশায় আগুন দিয়েই পালিয়ে যায় বলে জানান অতিরিক্ত উপ কমিশনার আয়ুব।
এছাড়া সকাল ৭টায় মজুমদারি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় ধাওয়া করে একটি ট্রাক ভাংচুর করে তারা।
সোয়া ৭ টায় শাহী ঈদগাহ এলাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
সকাল ৮টায় দর্শন দেউড়ী এলাকায় সড়কে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমাও ফাটায়।
১৮ দলের অবরোধ ও জামায়াতের হরতালের কারণে সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন যানবাহন।
হরতালে মহানগরীতে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় অল্প কিছু হালকা যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দিন অভিযোগ করেন, বিক্ষিপ্তভাবে জামায়াত-শিবির কর্মীরা নাশতকামুলক কর্মকাণ্ডে চেষ্টা করেছে।
নাশতকামুলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি নগরীতে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে বলেও তিনি জানান।