লোক সমাগমহীন গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে নিরব ভূমিকায় চলে গেছেন সংশ্লিষ্ট অনেক শীর্ষ ব্যক্তি।
মঙ্গলবার রাতে চেম্বার জজ কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার পর পর দীর্ঘ দিন পর পূনরায় শাহবাগে জড়োহয় মঞ্চের নেতৃবৃন্দ। মাত্র শ’খানেক লোক নিয়ে তারা ফঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে তিন মাস ব্যাপি আন্দোলনে যারা অগ্রভূমিকায় ছিলেন মঙ্গলবার রাত বা বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের অনেককেই শাহবাগের আশেপাশে দেখা যায়নি। শুধু মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার, লাকি ও মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে অবস্থান অব্যাহত আছে।
শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসির মামুন, গোলাম কুদ্দুস, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আসাদুজ্জামান নুর, মাহমুদুজ্জামান, রোকেয়া প্রাচী, অঞ্জন রায়, বাপ্পাদিত্য বসু, প্রীতম, আসাদুজ্জামান মাসুম, তফসির আহমেদ, গোলাম রসুল সহ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাউকেই দেখা যায়নি গত দুই দিনে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক হাতে গোনা শ’খানেক কর্মীদের নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, সরকারের ভেতরে লূকিয়ে থাকা কিছু যুদ্ধাপরাধীদের জন্য কাদের মোল্লার ফাঁসি ঝুলে গেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গনজাগরণ মঞ্চের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মঞ্চের অপর এক উদ্যোগতা সাকিল আহম্মেদ অরণ্য জাস্ট নিউজকে জানান, আমি মঙ্গলবার রাতেই চলে এসেছি। বুধবার ওখানে যাইনি। মঞ্চের উপস্থিতি কেন কম তা আমার জানা নেই।