যে পথে একবার না হাঁটলেই নয়
আমাদের শহরের রাস্তাগুলোতে হাঁটার সময় নাকমুখ কুঁচকে হাঁটেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। দূষিত পরিবেশ এবং একেবারেই ভাঙাচোরা রাস্তায় পায়ে হাঁটা বেশ মুশকিলের বৈকি। ইদানীং দূষণের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে গ্রামের পথগুলোতেও। পরিবেশ নষ্টের কারণে আগের সেই ছায়া ঢাকা সুনিবিড় পথ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর।
‘এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো বলোতো’এই ধরণের রোমান্টিক গান গেয়ে চলার মত পথ আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যেতে থাকলেও পৃথিবীর সকল স্থান কিন্তু এমনটি নয়। বিশ্বে রয়েছে এমন অসাধারণ গাছ ও লতার তৈরি পথ যে পথগুলোতে একটিবার না হাঁটলেই নয়।
১. দ্য ডার্ক হেজেস, নর্দান
আঠারো শতাব্দীতে ‘স্টুয়ার্ট পরিবার’ পথের দুপাশে সারি দিয়ে অনেক গাছ লাগিয়ে এই অসাধারণ পথটি তৈরি করেন। জনমতে জানা যায় এই পথটিতে দেখা মেলে ‘গ্রে লেডি’ নামক একটি অতৃপ্ত আত্মার।
২. স্ট্রিট ইন বন, জার্মানি
পথের দুধারে লাগানো গাছের সারি মাথার ওপরে ফুলের চাদর তৈরি করে প্রতি বসন্তে। ঝড়ে পড়া ফুলের পাপড়িতে ছেয়ে যায় পুরো পথ।
৩. ওয়িস্টেরিয়া ফ্লাওয়ার টানেল, জাপান
কিটাকায়ুসু, জাপানের কাওয়াচি ফুজি পার্কে ১৫০টির বেশি ওয়িস্টেরিয়া ফুলের গাছ দিয়ে তৈরি হয়েছে এই অসাধারণ সুন্দর ফুলের টানেলটি।
৪. ওক অ্যালি, নিউ অরল্যান্স, লুসিয়ানা
৮০০ ফিট চওড়া রাস্তার দুইপাশে বিশাল ওক গাছের সারি রাস্তাটিকে স্বপ্নময় করে তুলেছে। যেন ক্যানভাসে আঁকা কোনো ছবি।
৫. জ্যাকারান্ডাস ওয়াক, সাউথ আফ্রিকা
১০০ বছরের পুরোনো বিশ্বের সব চাইতে বড় মানুষের তৈরি একটি বন জ্যাকারান্ডাস ওয়াক। প্রায় ৭০,০০০ গাছের এই বিশাল বনটি টুরিস্টদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
৬. টানেল অফ লাভ, ইউক্রেন
প্রায় ১.৮ মাইল লম্বা রেললাইনের দুপাশ দিয়ে সবুজে ছেয়ে যাওয়া টানেলটি টুরিস্টদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বলা হয়ে থাকে ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এই টানেল ধরে চলার সময় যা ইচ্ছা করা হয় তাই পূরণ হয়ে যায়।
৭. বাঁশবাগানের পথ, জাপান
মেঠো পথের দুপাশ জুড়ে একইভাবে সারিবদ্ধ উঁচু উঁচু বাঁশের বাগানটি পথটিকে করে তুলেছে স্বপ্নময়।
৮. সাকুরা টানেল, জাপান
বয়ে চলা লেকের দুই ধারে সারি করে লাগানো চেরি গাছের এই টানেলটি যেন রূপকথার কোনো বই থেকে তুলে আনা হয়েছে।