বর্ষবরণের নামে শ্লীলতাহানি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফসল
বর্ষবরণের নামে মঙ্গল প্রদীপের অপসংস্কৃতি ও ঢাবি ক্যাম্পাসের ঘটনাসমূহের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আগ্রাসনের ফসল।
ইসলামী আন্দোলন মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, পহেলা বৈশাখের নামে দেশময় অশ্লীলতা-বেহায়াপনা ও নগ্নতার ছড়াছড়িতে এবং বিশেষ করে ঢাবি ক্যাম্পাসে তরুণীর শ্লীলতাহানীর ঘটনাসমূহ মুসলিম জাতিসত্তাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গল প্রদীপ আমদানি করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভিনদেশীয় ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে তোলা হচ্ছে। এভাবেই পহেলা বৈশাখের চেতনাকে কৌশলে ভিন্ন দেশের সংস্কৃৃতিমুখী করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে পৌত্তলিকতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে অপসংস্কৃতির পাশাপাশি ঢাবি ক্যাম্পাসে শ্লীলতাহানীর ঘটনাসমূহর মধ্য দিয়ে অপসংস্কৃতির করালগ্রাস আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। প্রকাশ্য দিবালোকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় বাংলাদেশ লজ্জিত এবং জাতি বিস্মিত। যে সংস্কৃতি আমাদের ইজ্জতের ওপর আঘাত করে সে সংস্কৃতি মুসলিম জাতিসত্তার বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ আঘাত। যে বা যারা এ ধরনের অপকর্ম করেছে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত। এ ধরনের সাংস্কৃতিক নষ্টামিকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। প্রগতির নামে এ ধরনের চরিত্র বিনাশী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর পদলেহী তথাকথিত মুক্তচিন্তার ধ্বজাধারী এবং নারী মুক্তির প্রবক্তারা আজ নীরব কেন? জাতি এর জবাব চায়।
শুক্রবার পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মু. মোশাররফ হোসেন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসি দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান।