‘৩ পাউন্ডের চিকেনের দিন শেষ’

টু সিস্টার্স ফুড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, ৩ পাউন্ডের মুরগীর দিন শেষ হয়ে আসছে। যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ পোল্ট্রি ফার্মের প্রধান এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন যে, চিকেন অর্থাৎ মুরগীর দাম এক লাফে ১০ শতাংশেরও বেশী বৃদ্ধি পাবে, আর ৩ পাউন্ডের চিকেনের দিনও শেষ হওয়ার পথে।
টু সিস্টার্স ফুড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত বোপারন আরো বলেন, ব্রিটিশ ক্রেতাদের সেক্টর জুড়ে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি একটি বড়ো ধরনের মূল্য প্রতিস্থাপনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে মজুরী, জ্বালানী ও সিওটু সহ মূল্যের ওপর প্রভাব পড়ছে।
চিকেন কিং হিসেবে পরিচিত মি: বোপারন আরো বলেন, শিল্পের জন্য প্রয়োজন গ্রাহক কর্তৃক স্বচ্ছ ও সৎ দ্রব্যমূল্যের স্বীকৃতি প্রদান। ৩ পাউন্ডের চিকেন দিয়ে একটি পরিবারকে খাওয়ানোর বিষয়টি শেষ হতে চলেছে। এটা একটি প্রতিস্থাপন এবং এর অর্থ কী সেটা বলা আমাদের প্রয়োজন। তিনি বলেন, খাদ্য অত্যন্ত সস্তা। বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার কিছু নেই। আপেক্ষিকভাবে, বর্তমানে একটি চিকেনের দাম, ২০ বছরের আগের চেয়ে সস্তা।
কোম্পানী এ বিষয়ে আলোকপাত করে যে, এসময়ে ব্যবসায়ীদের ৬শ’ ফার্ম ও ১৬ টি ফ্যাক্টরীর জ্বালানী ব্যয় বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ৪৫০ শতাংশ। ফার্মগুলোতে ফীডের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এর সাথে ফার্মিং প্রক্রিয়ায় পন্যমূল্য বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
ইতোমধ্যে এইচজিভি অর্থাৎ ভারী পণ্যবাহী যানবাহন চালকদের স্বল্পতা মজুরী বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। লজিস্টিক ফার্মগুলোকে মেধাবী লোকবল পেতে উচ্চতর মজুরী দিতে হচ্ছে। যদিও সরকার ঐ সরবরাহ অর্জন করেছে তাৎপর্যপূর্ন প্রতিবন্ধকতার পর, কিন্তু প্যাকেজিং ও পোল্ট্রি প্রক্রিয়াকরনে ব্যবহৃত সিওটু’র মূল্য মাত্র ৩ সপ্তাহে ৫শ’ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
টু সিস্টার্সের প্রধান নির্বাহী রোনাল্ড কারস্ বলেন, সাম্প্রতিক সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা ক্রেতাদের জন্য স্বল্প সংখ্যক পথই খোলা রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদেরকে আমাদের পরিসর সংকুচিত করতে হয়েছিলো। শ্রমিক ঘাটতির মানে হচ্ছে, আমাদের পক্ষে জটিল আইটেমগুলো তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিলো না। তবে সরকার সিজোনাল অর্থাৎ মৌসুমী শ্রমিক ভিসার ব্যবস্থা করায় তাদের পক্ষে এই ক্রিসমাস পূর্ব সময়ে আরো ৬শ’ থেকে ৭শ’ শ্রমিক পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button